৳ ৪০০ ৳ ৩৪০
|
১৫% ছাড়
|
Quantity |
|
৯৯০ বা তার বেশি টাকার বই অর্ডারে ডেলিভারি চার্জ ফ্রি। কুপন: FREEDELIVERY
প্রথম অর্ডারে অতিরিক্ত ১০০ টাকা ছাড়; ১০০০+ টাকার বই অর্ডারে। ৫০ টাকা ছাড়; ৫০০+ টাকার বই অর্ডারে। কুপন: FIRSTORDER
একাডেমিক বইয়ে প্রতি ১০০০ টাকার অর্ডারে একটি করে খাতা ফ্রি ও ডেলিভারি ফ্রি
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতি ফ্যাসিবাদ ও সাম্রাজ্যবাদী শাসনের বিরুদ্ধে এক দুর্দান্ত বিজয় অর্জন করে। তবে ২০২৪ সালের গণভান্দোলন হিল একটি নাতুন অধ্যায়, যেখানে ছাত্র-জনতার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ৩৬ জুলাই জ্যাসিবাদের পতন ঘটানো সম্ভব হয়। এ আন্দোলন ছিল গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য একটি অরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। বাংলাদেশে ২০২৪ সালের আন্দোলনের প্রধান চালিকা শক্তি ছিল তরুণ সমাজ ও ছাত্ররা। তারা ফ্যাসিবাদী শক্তির বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে রাজপথে নেমে আসে। আন্দোলনটি সাধারণ জনগণের সমর্থন পেয়েছিল, যা এক অনন্য সংহতির উদাহরণ। ফ্যাসিবাদী সরকারের দমননীতি, সংবাদমাধ্যমের উপর নিয়ন্ত্রণ এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে এই গণজাগরণ ছিল একটি সুনিদিষ্ট প্রতিবাদ। অবশেষে গণছান্দোলনের চাপে সরকার ক্ষমতা থেকে অপসারিত হয় এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়। তবে এই বিজয় সহজ ছিল না। অনেক ত্যাগ, গ্রেপ্তার এবং প্রাণহানির মধ্য দিয়ে তা অর্জিত হয়েছে। বিশ্বজুড়ে ফ্যাসিবাদ একটি নতুন রূপে ফিরে আসতে দেখা যাচ্ছে। একবিংশ শতাব্দীতে ফ্যাসিবাদ আর আগের মতো একনায়কতান্ত্রিক শাসনের আদলে নেই। এটি এখন হরবেশে, যেমন। জাতীয়তাবাদী প্রবণতা, কর্পোরেট দমননীতি এবং প্রযুক্তিগত নজরদারির মাধ্যমে ফিরে এসেছে। বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক বৈষম্য, অভিবাসন সংকট এবং জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বিষয়গুলোকে হাতিয়ার করে ফ্যাসিবাদী শক্তি নতুন করে জনগণকে বিভক্ত করার চেই করছে। সামাজিক মাধ্যমে স্বয়া তথ্য প্রচার এবং বিভেদ সৃষ্টিকারী নীতির মাধ্যমে জনগণের মতাদর্শকে প্রস্তাবিত করা হচ্ছে। বাংলাদেশে চব্বিশের গণআন্দোলনের শিক্ষা হলো, জনগণের ঐক্য ও সচেতনতা ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় শক্তি। যে দেশেই ফ্যাসিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠুক না কেন, জনগণের সম্মিলিত শক্তি তা পরাজিয় করতে পারে। ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই একবারের বিজয় নয়, বরং এটি একটি চলমান সংগ্রাম। ফ্যাসিবাদ যে কোন সময়ে ভিন্ন চেহারায় ফিরে আসতে পারে। তাই গণতন্ত্র ও মানবাধিকার রক্ষার জন্য ছাত্র-জনতার ঐক্যবদ্ধ অবস্থান এবং জনসচেতনতা অব্যাহত রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ রক্ষায় সব সময় সজাগ থাকা জরুরি। কারণ ফ্যাসিবাদ কেবল একটি শাসনব্যবস্থা নয়। এটি একটি মতাদর্শ, যা দমন, বিভাজন এবং শোষণকে স্থায়ী করতে চায়। ৩৬ জুলাই ছাত্র-জনতার বিজয় ফ্যাসিবাদের পতন প্রন্থে বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদ মতাদর্শের আবির্ভাব ও পুনরাবির্ভাব। বাংলাদেশের অর্থনীতি, সমাজ ও রাজনীতিতে তার নেতিবাচক প্রভাব এবং ফলশ্রুতিতে ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা, ফ্যাসিবাদের উত্থান, দেশে দেশে তার প্রভাব ও ফলাফলের উপর আলোকপাত করা হয়েছে, যা পাঠকদের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি করবে এবং তাদের নতুন দৃষ্টিকোণ প্রদান করাবে।
Title | : | ৩৬ জুলাই ছাত্র - জনতার বিজয় ফ্যাসিবাদের পতন |
Author | : | ড. ফারুক হোসেন |
Publisher | : | রাবেয়া বুকস |
ISBN | : | 9789849919308 |
Edition | : | 1st Published, 2025 |
Number of Pages | : | 240 |
Country | : | Bangladesh |
Language | : | Bengali |
ড. ফারুক হোসেন একাধারে একজন ঔপন্যাসিক, কবি ও প্রাবন্ধিক। "নষ্ট ভ্রষ্ট কষ্ট কথন" এবং "জলঘূর্ণনে জীবন" তার রচিত দুটি পাঠকপ্রিয় উপন্যাস। "এই জলোময় সরোবর” শিরোনামের যৌথ কাব্যগ্রন্থে অন্তর্ভুক্ত ও প্রকাশিত তার কবিতাসমূহ বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। দীর্ঘদিন তিনি বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় লেখালেখির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। ডেইলি স্টার, বাংলাদেশ সময়, ইনকিলাব, খবরপত্র, আজকের কাগজ, দেশ বাংলা ইত্যাকার পত্রিকায় ভিন্ন ভিন্ন সময়ে বিভিন্ন বিষয়ে তার প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। পেশাগত জীবনে তিনি নিজেকে অধ্যাপনায় সম্পৃক্ত রেখে জ্ঞান চর্চায় ব্রতী হয়েছেন। বর্তমানে তিনি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করছেন। দেশ-বিদেশের বিভিন্ন জার্নালে সমসাময়িক বিষয়ের উপর তার গবেষণামূলক প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। তিনি ১৯৯২ সালে ভাগ্যকুল হরেন্দ্রলাল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে স্টার মার্কসসহ এসএসসি পরীক্ষায় প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হন। ১৯৯৪ সালে ঢাকা কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। ড. ফারুক হোসেন বিক্রমপুরের মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রীনগর উপজেলার অন্তর্গত কামার গাঁও গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
If you found any incorrect information please report us